অনুশীলন সমিতি।
• উত্তর : বাংলায় বিপ্লববাদের ইতিহাসে অনেক গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির পথিকৃৎ ছিল। অনুশীলন সমিতি। ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতায় সতীশচন্দ্র বসু একটি শারীর শক্ষার সংস্থা রূপে অনুশীলন সমিতি স্থাপন করেন। তবে ব্যারিষ্টার প্রমথনাথ মিত্র এর সর্বাধিনায়ক ও সভাপতি হন। কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে এই সমিতির শাখা স্থাপিত হয়। ঢাকায় পুলিন বিহারী দাসের নেতৃত্বে অনুশীলন সমিতির একটি শক্তিশালী শাখা গড়ে ওঠে। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যেই এই সমিতির শুধু মাত্র ঢাকা কেন্দ্রের অধীনে অন্তত পক্ষে ৫০০টি অখাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সূচনা কালে অনুশীলন সমিতি সরাসরি রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল না। তবে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে বাংলায় উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনুশীলন সমিতি বৈপ্লবিক কার্যকলাপে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়। ক্রমশ সরকারী দমন নীতির চাপে গুপ্ত সমিতিগুলির বৈপ্লবিক তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়ে। ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতার অনুশীলন সমিতিকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঢাকায় পুলিন দাসের নেতৃত্বে গোপন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে। পরবর্তীকালে অনুশীলন সমিতি বাংলাৱ কংগ্রেস রাজনীতি ও বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে পড়ে।
0 Comments