Ad Code

লালা লাজপত রায় (১৮৬৫-১৯২৮ খ্রীঃ) সম্পর্কে যা জান লেখ।




Advertisements

লালা লাজপত রায় (১৮৬৫-১৯২৮ খ্রীঃ) সম্পর্কে যা জান লেখ।


• উত্তর : সংগ্রামী জাতীয়তাবাদ ও চরমপন্থী রাজনীতির বিকাশে অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন লালা লাজপত রায়। অসম সাহসী এই নেতা “পাঞ্জাব কেশরী” নামেও পরিচিত। তিনি আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওকালতি শুরু করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি আর্য সমাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং স্বামী দয়ানন্দের আদর্শ দ্বারা বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত হন।


তিলক, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ নেতাদের ন্যায় তিনিও কংগ্রেসের প্রথম পর্বের নেতাদের আপোষমুখী মনোভাবের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। বাংলার স্বদেশী আন্দোলন তাঁকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করে এবং তিনি পাঞ্জাবে স্বদেশী আন্দোলনের প্রসারে সচেষ্ট হন। ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে তিনি কংগ্রেসের প্রতিনিধিরূপে লন্ডনে যান। কিন্তু ভারত সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকারের বৈরী মনোভাব তাঁকে বিচলিত করে এবং সক্রিয় গণ-আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পাঞ্জাবে বিপ্লববাদী আন্দোলনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। এইজন্য ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং মান্দালয়ে নির্বাসিত হন।

পরবর্তীকালে ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেন এবং এই অধিবেশনে অসহযোগ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে লালা লাজপত রায় নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯২৩ খ্রীষ্টাব্দে স্বরাজ্য দলের সদস্য রূপে কেন্দ্রীয় আইন সভায় নির্বাচিত হন। ১৯২৮ খ্রীষ্টাব্দে লাহোরে সাইমন কমিশন-বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন এবং পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন এবং ১৭ই নভেম্বর দেহত্যাগ করেন। লালা লাজপত রায়ের এই দুঃখজনক প্রয়াণে সমস্ত দেশে গভীর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ভগৎ সিং-এর নেতৃত্বে বিপ্লবীরা পুলিশ অফিসারকে হত্যা করে।

Download Link of this Content
Advertisements
Best Search Engine Optimization
Advertisements

Post a Comment

0 Comments