উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের তিনজন সেনাপতির (শাহনওয়াজ খান মুসলিম, পি.কে.সেহগল হিন্দু, গুরবক্স সিং ধীলন – শিখ) দিল্লীর ঐতিহাসিক লালকেল্লায় বিচারের ব্যবস্থা হয়। বিচার শুরু হয় ৫ই নভেম্বর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে। এই বিচারের প্রতিবাদে আজাদ হিন্দ দিবস’ পালিত হয় (১২ নভেম্বর) ছাত্ররা (ফরওয়ার্ড ব্লক, লীগ, কংগ্রেস, কমিউনিস্ট) ধর্মঘট ও সমাবেশ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। তার ফলে ১ জন হিন্দু ও একজন মুসলিম ছাত্র মারা যায়।
এই হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ট্রাম, ট্যাক্সি, শিল্প ধর্মঘট হয়। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে ৩৩ জন নিহত হয় ও আহতের সংখ্যা ছিল ২০০ জন। জনতা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে (১৫০ টি) শতাধিক ই্মার্কিন সৈন্য আহত হয় (২১-২৩ নভেম্বর '৪৫)।
এছাড়া আবদুল রসিদ নামে আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন ক্যাপটেনের সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হলে, তার মুক্তির দাবীতে কলকাতা উত্তাল হয়ে ওঠে (১১-১৩ ফেব্রুয়ারী '৪৬) মুসলীম লীগের ছাত্রশাখা ধর্মঘট আহান করলে অন্যান্য দলের ছাত্ররাও ধর্মটে অংশ নেয়। শ্রমিক, জনতাও যােগ দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন অক্ষম হলে সেনাবাহিনী তলব করা হয়। সেনা-পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষে ৮৪ জন নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়।
এভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দী মুক্তির দাবীতে দেশ ব্যাপী রক্তক্ষয়ী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

0 Comments