Ad Code

পাললিক শিলা




Advertisements

 উত্তরঃ সাগর-মহাসাগরের তলদেশে দীর্ঘকাল ধরে পলি সঞ্চিত হলে নিচের পলিস্তরগুলি ধীরে ধীরে ভারী জলভাগ ও পলিরাশির চাপে এবং নিচের তাপে জমাট বেঁধে কঠিন শিলায় পরিণত হয়। পলি জমাট বেঁধে এর সৃষ্টি হয় বলে একে পাললিক শিলা বলে। স্তরে স্তরে পলি জমে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয় বলে এর আর এক নাম স্তরীভূত শিলা (চিত্র ৩৩)। বেলেপাথর, চুনাপাথর প্রভৃতি পাললিক শিলার উদাহরণ। একমাত্র পাললিক শিলার মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহের ছাপযুক্ত জীবাশ্ম দেখা যায়। পাললিক শিলাকে দু-ভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যায়(ক) উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে এবং (খ) পলির উৎপত্তি অনুসারে। উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে আবার তিনটি উপবিভাগে ভাগ করা হয়(i) সাধারণভাবে বা যান্ত্রিক উপায়ে উৎপন্ন, যেমন—কংগ্লোমারেট, গ্রিট, কাদাপাথর প্রভৃতি ; (ii) জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন, যেমন-চুনাপাথর ও কয়লা এবং (iii) রাসায়নিক পদ্ধতিতে গঠিত, যেমন-লবণ শিলা, ডলােমাইট প্রভৃতি। আর, পলির উৎপত্তি অনুসারে পাললিক শিলাকে দুটি উপবিভাগে ভাগ করা হয়(i) সংঘাত শিলা, যেমন—বেলেপাথর এবং (ii) অসংঘাত শিলা,


যেমন—চুনাপাথর।

Download Link of this Content
Advertisements
Best Search Engine Optimization
Advertisements

Post a Comment

0 Comments