উত্তর: পুন্নাপ্রা ভায়লার হল ভারতের দেশীয় রাজ্য ত্রিবাঙ্কুরের একটি অঞ্চল।
প্রশ্ন : ৭। পুন্না ভায়লার সংগ্রাম কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মন্ত্রিমিশন ভারতে এসে যে রাজনৈতিক আলােচনা করেছিল, তাতে দেশীয় রাজ্য সম্বন্ধেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই সময় (১৯৪৬ খ্রিঃ) ত্রিবাঙ্কুর দেওয়ান রামস্বামী আয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে এক খসড়া সংবিধান প্রকাশ করেন। ভারতের স্বাধীনতার সাথে ত্রিবাঙ্কুর যাতে স্বাধীন হয়, তার জন্য তিনি সচেষ্ট হন।
স্বাধীন ত্রিবাঙ্কুর অনেকের মনঃপূত না হওয়ায় প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে এখানে কমিউনিষ্টরা জেলে, কৃষি ও নারকেল ছােবরা শ্রমিকদের সংগঠিত করেছিল। তারা আত্মরক্ষা ও প্রতিরােধের জন্য স্বেচ্ছাসেবী শিবির গড়ে তুলে অস্ত্র শিক্ষা শুরু করে (সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ খ্রিঃ)। অক্টোবর (২২) মাসে তারা ধর্মঘট পালন করে। তারপর পুন্না থানায় সশস্ত্র আক্রমণ চালায় (২৪ অক্টোবর)। মার্কিন মােডাল, আরাবিয়ান কাতালীল' ধ্বনি তুলে স্বেচ্ছাসেবীরা আন্দোলন শুরু করে। ক.সি. জর্জ এবং টি.ভি.টমাসের নেতৃত্বে এই আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ত্রিবাঙ্কুর সরকার দমন নীতির আশ্রয় নেয়।
ত্রিবাঙ্কুর পুলিশ ধড় পাকড় শুরু করে জনতা পুলিশ সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকার তখন সামরিক আইন জারী করে এবং ভায়লার স্বেচ্ছাসেবী শিবির আক্রমণ করে। প্রায় ৮০০ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়। এই ঘটনা পুন্নপ্রা-ভায়লার সংগ্রাম নামে পরিচিত। এই ঘটনা রাজনৈতিক রূপ লাভ করলে দেওয়ান রামস্বামী বুঝতে পারেন, স্বাধীন ত্রিবা্কুর প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আরও এইরকম বিদ্রোহ ঘটে। নতুন মাত্রা যোগ হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। শেষ পর্যন্ত ত্রিবা্কুর ভারত ইউনিয়নে যােগ দেয়।

0 Comments