নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭-১৯৪৫)।
• উত্তর : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সশস্ত্র ধারার মহানায়ক ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। সুভাষচন্দ্র ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ‘মহা ক্ষত্রিয়’ নামে পরিচিত। ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে আই. সি. এস. পদে ইস্তফা দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসাবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। কলকাতা কর্পোরেশনের মুখ্য প্রশাসক ও পরে মেয়র রূপে অসাধারণ কর্মদক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৩৮ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। পর বৎসর (১৯৩৯) খ্রীঃ) গান্ধীজীর মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে পুনরায় কংগ্রেস সভাপতি রূপে নির্বাচিত হন। কিন্তু গান্ধীজী ও তার গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধের ফলে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক' নামে দল গঠন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের স্বপক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করে এই অবস্থায় তিনি ভারতের বাইরে গিয়ে সশস্ত্র অভিযানের পরিকল্পনা নেন। ১৯৪১ খ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ভারত ত্যাগ করেন। কাবুল হয়ে জার্মানীতে আসেন। ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এসে আজাদ হিন্দ ফৌজ ও সরকার গঠন করেন। এই সরকারের সর্বাধিনায়ক হিসাবে তিনি জাপানের সহায়তায় মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনা করেন। কিন্তু প্রতিকূল অবস্থার চাপে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৯৪৫
খ্রীষ্টাব্দের ১৮ই আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর কথা প্রচারিত হয়।
0 Comments