বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের পুষ্টিগত গুরুত্ব
1. কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পুষ্টিগত গুরুত্ব :
(i) দেহের তাপশক্তি উৎপাদন এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজন।
(ii) প্রতি গ্রাম শর্করা থেকে 41K. Cal. তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
(ii) শর্করা গ্লাইকোজেনে পরিণত হয়ে পেশী ও যকৃতে সঞ্চিত থাকে। প্রয়োজনে তা গ্লুকোজে পরিণত হয়ে দেহে তাপশক্তি প্রদান করে।
(iv) সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য (Roughage) কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে।
2. প্রোটিনের পুষ্টিগত গুরুত্ব :
(i) দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, কোষের গঠন প্রভৃতি প্রোটিন পুষ্টির ফলে হয়ে থাকে।
(ii) বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক ও হরমোন প্রোটিন থেকেই তৈরি হয়।
(iii) প্রোটিন পুষ্টি দেহের তাপশক্তি উৎপাদন করে। এক গ্রাম প্রোটিন দহনে 42K. Cal. তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
(iv) প্রোটিন অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডের যোগান দেয়।
3. ফ্যাট বা স্নেহদ্রব্যের পুষ্টিগত গুরুত্ব :
(i) স্নেহদ্রব্যের দহনে সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এক গ্রাম ফ্যাট দহনে 9'3K. Cal. তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
(ii) প্রাণিদেহে তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
(iii) দেহের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ রক্ষায় সাহায্য করে।
(iv) দেহে মেদরূপে সঞ্চিত থেকে প্রয়োজনে তাপশক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
0 Comments