জলীয় বাষ্প হাল্কা বলে সহজেই ওপরে উঠে যায়। ওপরে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয় এবং বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, কয়লার কণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়। এই ভাসমান জলকণা বা তুযারকণার সমষ্টির নাম মেঘ। মেঘ সৃষ্টিকারী এইসব জলকণা বা তুষারকণা অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয়, যাদের গড় ব্যাস মাত্র ১০০ মিলিমিটার বা ০.০১ মিলিমিটার। তাই এগুলি অতি সহজেই মেঘ হিসাবে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু মেঘের মধ্যে ভাসমান এই অতি ক্ষুদ্র কণাগুলি যখন পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গড়ে ০৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়, তখন এগুলি আর ভেসে থাকতে পারে না। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ঐ মেঘ বৃষ্টিরূপে নিচে পড়ে। মেঘের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা বা তুষারকণা বিভিন্ন কারণে সংযুক্ত হয়, যেমন—কখনও বিদ্যুৎ মােক্ষণের জন্য, কখনও উর্ধ্বমুখী বায়ুর প্রভাবে খুব বেশি শীতল হয় বলে। যেহেতু সব মেঘে জলকণা বা তুষারকণা সংযুক্তির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না, তাই সব মেঘ থেকে বৃষ্টিও হয় না।

0 Comments