নিজের কক্ষতলের সঙ্গে ৬৬ ১/২° কোণ করে সূর্যকে পরিক্রমণ করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য হয় এবং এর ফলে ভূ-পূষ্ঠে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি তথা ঋতু পরিবর্তন হয়। দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতার পার্থক্য হয় বলে বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব বা ঋতু পরিবর্তন হয়। যেমন—যখন কোন অঞ্চলে রাত্রির তুলনায় দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হয়, তখন দিনের বেলায় ভূ-পৃষ্ঠে যে পরিমাণ তাপ সঞ্চিত হয়, রাত্রি ছােট হওয়ায় ঐ তাপের সবটাই বিকীর্ণ হতে পারে না, কিছুটা সঞ্চিত থেকে যায়। এর ফলে ঐ অঞ্চলে গরম বাড়তে থাকে এবং গ্রীষ্মকালের সৃষ্টি হয়। আবার, রাত্রির দৈর্ঘ্য দিনের তুলনায় বেশি হলে সঞ্চিত তাপের সবটাই বিকীর্ণ হয়। এর ফলে জায়গাটি ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং শীতকাল শুরু হয়। সুতরাং দিন বড় ও রাত্রি ছােট হলে গ্রীষ্মকাল এবং রাত্রি বড় ও দিন ছােট হলে শীতকাল হয় বা বিপরীতভাবে বলা যায় গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে দিন ছােট হয়।

0 Comments