যে সব উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, জাতিপুঞ্জের কাজকর্মের সাফল্য চমকপ্রদ না হলেও তা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তিসম আলেক্ষ তিপু আনেকশে সল। কাল জাতিসংয়া প্রতিষ্ঠার মাত্র কুড়ি বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠেছিল। সখড় ১০ গুন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ঘটনা পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেও জাতিপুঞ্জের ঐকান্তিক প্রচষ্টায় তা বিশ্বু টাতে পারেনি। এ জাতিপুঞ্জের মানাের একটা কি বলা যেতে পারে। তাছাড়া ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৫১টি সদসা রাষ্ট্র নিয়ে জাতিপু যে যাত শ করেছিল, যাত্রা পথে বর্তমানে তা ১৯১-এ পাঠিয়েছে। কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান, আরব, ইজরাইল প্রভৃতি কষ্টকে কে রে তৃতীয় বিশাখের অশতা সৃষ্টি হলেও জাতিপুঞ্জের সঠিক পদক্ষেপে এই সংঘর্ষ-গুলি ছড়িয়ে পড়েনি। প্যালেস্টাইন সমস্যার ক্ষেত্রে জাতিপঞ্জ উল্লেখযােগ, সায়রে পরিচয় দিয়েছে। জাতিপুঞ্জের উপযুক্ত সময়ে হস্তক্ষেপের ফলেই আরব ও ইহুদিদের মধ্যে মাঠের ব্রহ হতে পরিমানে হস পেয়েছিল। সুয়েজ খাল কে কেন্দ্র করে মিশরের সাথে ইজরাইল, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সর্ষের যে সূত্রপাত ঘটে হাতির চেষ্টায় তার শ্বসন ঘটে। কঙ্গো সমস্যা, সিরিয়া ও লেবানন সমস্যা প্রভৃতি সমাধানে জাতিপুঞ্জ প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে। কেবল ত্বের বিরুদ্ধে নয়, যুদ্ধের উন্মাদনা কমাতে পারমানবিক শক্তি কমিশনের’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কমিশন’ ইত্যাদি গন করে জতিপু্ের উদ্যোগ গ্রহণ প্রশংসনীয়।
তবে জাতিপুঞ্জের আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তামূলক কাজকর্মের অপেক্ষা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাফলা অধিকতর উল্লেখযােগ্য। জাতিপুঞ্জ তার বিভিন্ন বিশেষীকৃত সংস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযােগিতা বৃদ্ধি করে বিশ্বমানবের; বিশেষ করে অনুন্নত দেশুলির উন্নয়ানে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। অনুন্নত দেশগুলির সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত দেশের জনগণের নিরক্ষরতা দুরীকরণ, বর্ণবৈষমারােধ, মাদক বর্জনি, আাস্থ্য উন্নয়ন, শিশু কল্যানসাধন প্রভৃতি কর্মসূচীর ক্ষেত্রে জাতিপুঞ্জের সফল ভূমিকা দেখা যায়।

0 Comments