আগাছানাশককে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি। তার মধ্যে প্রথম হল নির্বাচিত ও অনির্বাচিত আগাছানাশক। অনির্বাচিত আগাছানাশক জমিতে প্রয়োগ করলে তারা জমিতে উপস্থিত সমস্ত রকমের গাছকে মেরে ফেলে। কিন্তু নির্বাচিত আগাছানাশক ফসলের জমিতে প্রয়োগ করলে তারা ফসলের কোনও ক্ষতি করে না কিন্তু জমিতে উপস্থিত আগাছাগুলিকে বিনাশ করে। যেমন—ধানের জমিতে বিউটাক্লোর বা প্রেটিলাক্লোর ব্যবহার করলে ধান গাছের ক্ষতি হয় না কিন্তু জমির আগাছা মরে যায়। গ্লাইফসেট জাতীয় আগাছানাশক যদি জমিতে প্রয়োগ করা যায় সেটি জমিতে উপস্থিত সব ফসলকেই নষ্ট করে দেয় অনির্বাচিত ভাবে। এ ছাড়া আগাছানাশককে পদ্ধতিগত ও স্পর্শগত ভাগে ও ভাগ করা হয়। স্পর্শজনিত আগাছানাশক যেমন—প্যারাকুয়েট জমিতে প্রয়োগ করলে এটি আগাছার যে অংশকে স্পর্শ করবে সেই অংশগুলি নষ্ট করে দেয়। কিন্তু পদ্ধতিগত আগাছানাশক যেমন—গ্লাইফসেট আগাছার সংবহনের মধ্যে ঢুকে গিয়ে আগাছাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া আগাছার ভাগ অনুযায়ী তাকে দমন করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আগাছানাশক ব্যবহার করা হয়। যেমন—ঘাস জাতীয় হলে কুইজালোফপ ইথাইল খুবই কার্যকর। চওড়া পাতাযুক্ত আগাছা দমন করার জন্য ‘২,৪-ডি’ প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। সময় অনুযায়ী আগাছানাশকের তিন রকমের ব্যবহার হয়ে থাকে।
** ফসলের বীজ বোনার আগে। যেমন—গ্লাইফসেট।
** ফসলের বীজ বোনা বা চারা রোপণের পর কিন্তু আগাছা জন্মানোর আগে। যেমন—প্রেটিলাক্লোর বা বিউটাক্লোর।
** ফসলের জমিতে আগাছা জন্মানোর পর। যেমন—কুইজালোফপ ইথাইল, ‘২, ৪-ডি'।

0 Comments