Ad Code

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন




Advertisements

 নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন 

● উত্তর : ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সংবাদপত্র পত্র ও সাহিত্যের ন্যায় দেশাত্ববোধক নাটকও জাতীয়তাবাদের বিকাশে সাহায্য করে। নাটকের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার, জনগণের সীমাহীন দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়। এই সময়ে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী নাটক প্রকাশ্যভাবে নাট্যমঞ্চে অভিনীত হতে থাকে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের মনে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। নাটকগুলির মধ্যে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ, উপেন্দ্রনাথ দাসের 'শরৎ সরোজিনী’ ও ‘সুরেন্দ্র বিনোদিনী, অমৃতলাল বসুর ‘চা-কর দর্পণ' ও 'জগদানন্দ ও যুবরাজ' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত বলা যায়, দীনবন্ধু মিত্র রচিত নীলদর্পণ নাটক নীলকর সাহেবদের অমানুষিক অত্যাচারের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেছিল। চা বাগানের সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অমৃতলাল বসুর 'চা-কর দর্পণ' নাটকের অভিনয় দর্শকের মনে শিহরণ সঞ্চার করে। এরপর উপেন্দ্রনাথ দাসের "সুরেন্দ্র-বিনোদিনী”নামে সরকার বিরোধী একটি প্রহসন নাটক ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দের ৮ই মার্চ মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকের একটি দৃশ্যে এক ইংরেজকে জুতা মারার ঘটনা ছিল। এর ফলে ইংরেজ মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকার ব্রিটিশ-বিরোধী নাটকের অভিনয় যাতে না হয় সেজন্য সচেষ্ট হলেন এবং লর্ড নর্থব্রুকের শাসনকালে ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই মার্চ। 'নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন' বলবৎ করা হল। এই আইনের বক্তব্য হল— পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত প্রকাশ্য রঙ্গশালায় নাট্যাভিনয় করা যাবে না এবং নাটকগুলি কোনভাবেই যেন সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট না করে। উল্লেখিত আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন সংস্থা, সংবাদপত্র, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ভারত সভা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জাগায়।

Download Link of this Content
Advertisements
Best Search Engine Optimization
Advertisements

Post a Comment

0 Comments