সংক্ষেপে আলোচনা কর : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা।
• উত্তর : ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী বি. আর আম্বেদকরের নেতৃত্বাধীন গণ-পরিষদ কমিটি ভারতের সংবিধান প্রকাশ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের (১৭৮৭ খ্রীঃ) মত ভারতের সংবিধানেও একটি প্রস্তাবনা (Preamble) সংযুক্ত করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনাকে সংবিধানের ভূমিকা বা উপক্রমণিকা বলা হয়। প্রস্তাবনা সংবিধানের মূল অংশের অঙ্গীভূত না হলেও এর গুরুত্ব নেহাৎ কম নয়। সংবিধানের কোন ধারা বা উপধারার ব্যাখ্যা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে প্রস্তাবনায় সংবিধানের যে উদ্দেশ্যে ও আদর্শ বর্ণিত থাকে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে সেই ধারা বা উপধারার ব্যাখ্যা নির্ণয় সম্ভব হয়।
১৯৭৬ খ্রীষ্টাব্দের ৪২তম সংবিধান সংশোধন অনুযায়ী ভারতবর্ষকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম-নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রূপে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই সংবিধান ভারতীয় নাগরিকদের –
(১) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় বিচার;
(২) চিন্তা, স্বমত প্রকাশ, নিজ বিশ্বাস, নিজ ধর্ম অনুসরণ ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা;
(৩) সামাজিক সমমর্যাদা, সমপরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার স্থাপন করতে দৃঢ়সংকল্প;
(৪) সর্বশেষে প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত মর্যাদা, জাতীয় ঐক্য ও ভ্রাতৃভাব বৃদ্ধি করা শাসনতন্ত্রের লক্ষ্যরূপে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

0 Comments