অবঘর্ষ : অবঘর্ষ হল এমন এক রকমের ক্ষয়সাধনকারী প্রক্রিয়া যা (১) নদী, (২) হিমবাহ এবং (৩) বায়ুর দ্বারা হতে পারে।
(১) নদীর দ্বারা সংঘটিত অবঘর্ষ : নদী বাহিত প্রস্থরখণ্ডের সঙ্গে নদীগাতের সথের্ষের ফষলে নদীখাতে ছােট ছােট গর্তের সৃষ্টি হয়, যা নদীখাতকে আরও তাড়াতাড়ি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। নদীর ক্ষয়কাজের এই প্রক্রিয়াকে অবঘর্ষ বলে ;
(২) হিমবাহ দ্বারা সংঘটিত অবঘর্ষ : প্রবাহমান হিমবাহের মধ্যে যে সব পাথরের টুকরাে থাকে সেগুলাের সঙ্গে পর্বতের সংঘের্ষে পাহাড়ের গা কিংবা হিমবাহ উপত্যকা ক্রমশ ক্ষয়ে গিয়ে মসৃণ হলে তাকে অবঘর্ষ বলে ;
(৩) বায়ুর দ্বারা সংঘটিত অবঘর্ষ : বায়ু প্রবাহের সঙ্গে ভাসমান বালি, ছােট ছােট পাথর খণ্ড, শক্ত কোয়ার্টজ কণা প্রভৃতির সঙ্গে ঘর্ষণে শিলান্তর ক্ষয় পায়, একে অবদর্ষবলে। এই রকমের ঘর্ষণে শিলাস্তরে গভীর দাগ, আচড়ানাের দাগ বা মৌচাকের মতঅসংখ্য ছােট ছােট ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। কঠিন শিলাস্তরের তুলনায় কোমল শিলাস্তরে অবর্ষের পরিমাণ বেশী হয়। প্রধানত মরুভূমি অঞ্চলে অবমর্ষের ফলে শিলা গৌর, ইনসেল বার্জ, ভেন্টিফ্যাক্ট, ড্রিক্যান্টার, ইয়ার্দাং, জুগ্যান প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। এখানে বলা দরকার যে, মরুভূমি অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পরস্পর সমাস্তরালভাবে বিন্যস্ত হয়ে জুগ্যান এবং লম্বালম্বিভাবে বিন্যস্ত হয়ে ইয়ার্দাং ভূমিরূপ গঠন করে।

0 Comments