বায়ুতে সব সময়ই কিছু পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকে এবং এই জলীয় বাষ্প হালকা বলে ওপরে উঠে যায়। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বায়ুর এই জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা আছে। উষ্ণ বায়ু অধিক জলীয় বাষ্প ধারণ করে এবং উষ্ণতা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতাও কমে যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বায়ু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে। যখন কোন জায়গায় বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঐ পরিমাপের শেষ সীমায় পৌঁছায়, তখন একে বায়ুর পরিপৃক্ত অবস্থা বলে। পরিপৃক্ত বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নিচে নেমে গেলে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয় এবং বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, কয়লার কণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়ে মেঘ হিসাবে ভেসে বেড়ায়। মেঘের মধ্যে ভাসমান জলকণাসমুহ ছােট-বড় নানা আকারের হয়। ভাসমান অবস্থায় বড় কণার সঙ্গে ছােট কণার ধাক্কা লাগলে বড় কণা ছােট কণাকে গ্রাস করে। এর ফলে বড় কণাগুলি আরও বড় ও ভারী হয়ে যায় এবং মাধ্যাকর্ষণের টানে নিচের দিকে পড়তে থাকে। শুরু হয় বৃষ্টিপাত।

0 Comments