দই এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাদ্য সামগ্রী শরীরের জ্বালানি প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি তড়িৎ হওয়া বা বিপাকের (Metabolism) গতি বাড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। দই ও দুগ্ধজাত খাদ্যের তড়িৎ ক্ষমতার কারণগুলো হলো:
1. উচ্চ প্রোটিন উপাদান:
দই ও দুধে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে, যা শরীরের তাপীয় প্রভাব (Thermic Effect of Food - TEF) বাড়ায়। প্রোটিন হজম করতে শরীরকে বেশি ক্যালোরি ব্যবহার করতে হয়। ফলে বিপাক হার বাড়ে।
2. ক্যালসিয়ামের প্রভাব:
দুধ এবং দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরের চর্বি পোড়ানোর হার বাড়াতে সহায়তা করে। এটি চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং শরীরকে আরও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
3. প্রোবায়োটিক উপাদান:
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা পুষ্টি শোষণ ও বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
4. উচ্চ পানির পরিমাণ:
দুগ্ধজাত খাবারে প্রায়ই উচ্চ পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং বিপাকের কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
এই কারণে নিয়মিত দই বা দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ শরীরের শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সামগ্রিক বিপাক হার বা
ড়াতে সাহায্য করে।

0 Comments