ভারতের বন-সংরক্ষণের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ভারতের প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমি বনভূমির অন্তর্গত। অর্থাৎ ভারতের মোট আয়তনের প্রায় ২২. ৮ শতাংশ বনভূমি। এটি প্রয়োজনের (অংশ) তুলনায় অনেক কম। বনভূমি কমে গেলে দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয় এবং ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া, অবৈজ্ঞানিক প্রথায় গাছ কাটা, ঝুম চাষ ধস ও অগ্নিকাণ্ডের ফলে ভারতের বনভূমির যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। তাই বর্তমানে সরকার বনভূমি সু-সংরক্ষণের জন্য এবং নতুন বনভূমি সৃষ্টির জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। প্রতি বছর বন-মহোৎসবের সময় দেশের সর্বত্র বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। মূল্যবান বনভূমিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় ৫২ ভাগ বনভূমি বর্তমানে সরকারী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ জীবজগতের ভারসাম্য এবং পরিবেশের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য দেশে বনভূমির পরিমাণ অন্তত পক্ষে ১১ কোটি হেক্টর রাখার সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা কার্যকর করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের বনভূমিগুলোকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৮০ সালের বনসংরক্ষণ আইন অনুসারে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভারতের কোন বনভূমিকে বিনষ্ট অথবা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
** ১৯৮০-৮১ খ্রীষ্টাব্দে জ্বালানী কাঠ উৎপাদনের জন্য ভারতের ১০১টি খরাপ্রবণ জেলাকে বেছে নিয়ে গ্রামীণ জ্বালানী কাঠ উৎপাদন প্রকল্প এবং শিশুদের বৃক্ষসৃজনে উৎসাহিত করতে একটি শিশুর জন্য একটি গাছ প্রকল্প সরকারী উদ্যোগে শুরু হয়েছে।
** সমষ্টির স্বার্থে আমাদের সকলের উচিত গাছ-পালার সু-সংরক্ষণের জন্য সর্বদা উদ্যোগী হওয়া এবং লক্ষ্য রাখা যাতে অযথা গাছ কাটা না হয়। প্রয়োজনে গাছ কাটতেই হলে, সঙ্গে সঙ্গে যাতে একটি চারাগাছ রোপণ করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
0 Comments